পরবর্তী গান, অঞ্জন দত্ত ঢাকা সফরের মাঝামাঝি শান্তি নগরের হোয়াইট হাউজ হোটেলে সুত্রপাত। তারপর কখনও গ্রীন রুমে, কখনও রেস্তোরায়, আবার কখনও চিঠাগং থেকে ঢাকার সুবর্ণ এক্সপ্রেসে একটু একটু করে লেখা। ঢাকা সফরের শেষ দিন, আমাদের বাংলাদেশের শিল্পি মকসুদের সঙ্গে আড্ডা জমে উঠেছে, মাকসুদের গাড়িতে বসে ওর অপ্রকাশিত নতুন গান শোনা হচ্ছে। অঞ্জনও কম যায়না, রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে গীটার বাঁজিয়ে ওরও নতুন গান শোনা হলো। এ গান প্রথম গাওয়া হলো এয়ারপোর্ট রোডে, সেদিনই বোধ হয় প্রথম অ্যালবামটির কথা উঠে। গীতাঞ্জলী অর্থাৎ জি সিরিজের খালেদ ভাই আমাদের সঙ্গেই ছিলেন, তিনিই প্রথম কথাটা তুললেন। বাংলাদেশ এবং ভারতবর্ষের শিল্পীদের নিয়ে মিলেমিশে একটা অ্যালবাম করা হোক। সবাইকে একত্র করে কিছু একটা প্রয়াস যদিও এখনো সার্থক হয়নি তবে ইচ্ছেটা রয়েছে ষোলআনা। অঞ্জন দা নিজেও খুবই আগ্রহী, যদি এ অ্যালবামটা আপনাদের ভালো লাগে, তাহলে পরের বার আরো জমিয়ে, আরো বৃহৎভাবে কিছু একটা করা যেতে পারে। কারণ আমাদের সকলেরই দৃঢ় বিশ্বাস যে আধুনিক বাংলা গান আজ যেখানে এসে দাড়িয়েছে সেখানে সমস্ত শিল্পীদের নিজেদের ব্যক্তিগত বৃত্ত থেকে বেড়িয়ে আসা দরকার এবং একত্র হওয়া অত্তন্ত জরুরী। আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি অঞ্জন দা বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের গুনমুগ্ধ শ্রোতা এবং অনেকের গানের দ্বারা অনুপ্রাণিত। সেই অন্য শিল্পীদের প্রভাবটা অকপটে স্বীকার করতে প্রস্তুত। তাই অঞ্জন দত্ত বলছেন-
কিছু সত্যি কথা কিছু ভান
আর ছেলেবেলার অভিমান
যাই লিখে, যাই লিখে, যাই লিখে আমার গান
একটা পুরনো দুঃখের দোহাই
সিগারেটটা পুড়ে পুড়ে ছাই
কান্না পেতে পেতে গানটা আমার খোঁজে পাই
একটা পুরনো চিঠি কোন বইয়ের পাতায়
একটা অচেনা নাম আমার চেনা খাতায়
হয়তো ছেলেবেলা ফেলে আসা পাহাড়ি ফুল
হয়তো সুমন, কত নানান হৃদয়ের খবর
এই আমার গানের ভিতর
যায়নি সে, যায়নি সে, যায়নি সে যায় আপন পর
একটা পাগল হাওয়া আমায় হাতছানি দেয়
হয়তো ঢাকা থেকে আমার মনকে মাতায়
হঠাৎ খোঁজে পাওয়া নতুন গানের বারুদ
হয়তো মাকসুদ, কত ক্যাকটাস, কত পরশ পাথর
এই আমার হৃদয়ের ভিতর
যায়নি সে, যায়নি সে, যায়নি সে যায় আপন পর
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন