অঞ্জন দত্ত, জন্ম: জানুয়ারি ১৯, ১৯৫৩, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত। আরো জানতে
এই ব্লগটা অঞ্জনের গান প্রেমীদের জন্য। আমার হাতে এখন অফুরন্ত সময়, অঞ্জনের গান শুনছি, ভাবলাম লিখে রাখি, পড়া যাবে কিন্তু তাও হচ্ছেনা। পায়ের সাথে চোখের সমস্যায়ও ভুগছি। শুনে শুনে লেখা তাই ভুল থাকবেই, ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

দাস কেবিন

সোমবারে আসে স্বর্ণালী আর সুমন্ত
মঙ্গলে মিতা আর মন্টু
বুধবারে আসে বৈশাখী আর বিপ্লব
বৃহস্পতিবারে শেলী আর সন্তু
শুক্কুরবারে আসে সীমা আর শান্তনু
শনিবারে সুধা-সুধন্য
রবিবার বিকেলটা সবাই জানে কার
রবিবার আমাদের জন্য
ফিরে ফিরে সাতদিন দাস বাবুর এ কেবিন
কত প্রেমালাপে যায় ভরে
জায়গা নেই যে কোন আমাদের অন্য
তিনশ বছরের শহরে,
এই তিনশ বছরের শহরে

হাট-মাঠ সিনেমার হলটা
নেই যে কোন গলি-গলটা
একটু আপন করে বলবো কোথায় বল
মনের গোপন এই কথাটা
ময়দানে মীটিঙের শোরগোল
গঙ্গার ঘাটে ভিখিরির দল
তাই ঘুরেফিরে দাস বাবুর এই কেবিনটা
রয়ে গেছে সবচেয়ে সস্তা
এক কাপ চায়ে কেটে যায় আধঘণ্টা
দুই কাঁপে পৌনে তিন
ফিশ-চপ নিলে পাক্কা চার ঘন্টা
ডিশকো-বিরাজী নিলে প্রায় সারাদিন
এইভাবে কেটে যায় কত কত সপ্তাহ
বয়স শুধুই যায় বেড়ে
ভবিষ্যৎটা সেই যেমনটি ছিল রয়ে যায় নড়বরে
তবু ঘুরে সাতদিন দাস বাবুর এ কেবিন
কত প্রেমালাপে যায় ভরে
জায়গা নেই যে কোন আমাদের অন্য
তিনশ বছরের শহরে,
এই তিনশ বছরের শহরে

মাঝে মাঝে মনে হয় ধুচ্ছাই
এইবার আমি ঠিক পালাবোই
তবু রবিবার এলে সেই ঘুরে ফিরে
দাসবাবুর কেবিনটাতে চলে যাই
সেই টেবলে আঁকি বুঁকি কাটা
কাগজের ন্যাপকিনে কবিতাটা
পর্দাটা টেনে দিয়ে পৃথিবীর সব ঝঞ্ঝাট
আমি ভুলে যাই
তিনমাস হয়ে গেল, রঞ্জন রঞ্জনা
আসেনাতো আর ফিরে ফিরে
তার বদলে স্বার্ণালী আর সুমনতো
ফিরে ফিরে আসে সোমবারে
এখন সুরঞ্জনা শ্যামলের হাত ছেড়ে
শমিকের হাত ধরেছে
বিপ্লবদেরও নাকি শুনছি ইদানিং
কথা কাটাকাটি বাড়ছে, বাড়ছে
আমাদেরও ফিউচার খুবই অপরিষ্কার
ভরসা পাচ্ছিনা কোন
হাঁড়িমুখ করে বসে থাকে নীলা আজকাল


চাকরিটা পায়নি এখনো, চাকরিটা পায়নি এখনো

1 টি মন্তব্য: