হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাট লোক
আকাশ থেকে নেমে এলো এক রাত্রে বড় বড় বড় বড় গোল গোল চোখ
আত্মীয় নেই কোন বন্ধু বান্ধব মেস বাড়িতে তার বাস
দায়িত্ব নেই কোন ঝন্জাট নেই কোন, নেই তার কোন অভিলাষ
আছে, কলসি আছে, আছে ঘরের কোণে, আছে ঘামছা আছে,
আছে মার্বো সাবান, চশমার মাইনাস পাওয়ার আছে পরিপাটি একদম
আছে একা একা স্বপ্ন দেখার অভ্যেস তার, ধার করে পত্রিকা পড়া
আছে এইট বি বাসের এক কোণ তার জন্যে, সকালের অফিসের তাড়া
আছে ছোট বেলা থেকে, এক কালা জ্বর রোগ তাই তেল ঝাল নুন খাওয়া হয়না
শুধু সাদা সেদ্ধ ছিল যে বরাদ্দ যতইনা ইচ্ছে হোক
বিজ্ঞাপনের হাতছানি দেখেও না দেখে
ভিড় বাসে ভাঁজ ভাঙা শাড়ির পরশ ভুলে থেকে
শনিবার, শনিবার নড়বড়ে সিড়ি বেয়ে মেসটার ছাদে উঠে
আকাশের দিকে চেয়ে জলে ভরে যেত তার চোখ
হয়তোবা কোনদিন প্রার্থনা করেছিল সে
তাই ধুম করে হঠাৎ এক শনিবারে নেমে আসে
টিভির এন্টেনা বাঁচিয়ে আস্তে করে
পাতিলের ধার ঘেষে বনবন করে ঘুরে
নেমে এলো বড় বড় চোখ
ঘাবড়ে গিয়ে দাত কপাটি লেগে যায় ঘেমে যায় হরির নাকটা
কোন এক ম্যাগাজিনে দেখে ছিল এই ছবি অজানা উড়ন্ত কী একটা
ধুয়ে যায় হরিপদ সাদা সাদা আলোতে, বেঁজে উঠে ইসরাজ কত
হাত পা মন মাথা ঘামতে ঘামতে টনটন করে তার নখ
হঠাৎ কী মনে হলে খিল খিলিয়ে হেসে উঠে হরিপদ কেরানী
এতসব বড়বড় দেশমেশ ফেলে তোরা কলকাতাতেই এলি
নিশ্চয় পথ ভুল করে যে বেটারা পাবেনা যে কিছুই হেথায়
আস্তে আস্তে দুটো পাতি হরিপদ জলে ভরে যায় তার চোখ
বুঝতে পারেনি তারা কখনযে নেমে এসে
তুলে নিয়ে গেছে তাকে মেঘের ওপাড়ে কোন দেশে
কেউ কোনদিন তার খোঁজ করেনিকো আর
ছিলনাকো কেউ তার কোন খোঁজ করবার
কেউ করেনিকো কোন শোক
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন